Zubaida rahman biography of albert
জোবাইদা রহমান
জোবাইদা রহমান (জন্ম: ১৮ জুন ১৯৭২) একজন বাংলাদেশী চিকিৎসক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী।[২]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]জোবাইদা রহমানের জন্ম বাংলাদেশের সিলেটে। তার বাবা রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকারে তিনি যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানী জোবাইদা রহমানের কাকা। তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আইরিন খান এর চাচাতো বোন।[৩]
১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেওয়ার আগে ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী তারেক রাহমানের সাথে জোবাইদার বিয়ে হয়।[৪] ২০০৮ সালে তারেকের জেলমুক্তির পর শিক্ষাছুটি নিয়ে তারেকের চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডন যান। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন।[৫]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]জোবাইদা ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেন।[৬] পরে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন থেকে মেডিসিন বিভাগে বিদ্যায়ন করে রেকর্ড নম্বর ও স্বর্ণপদক নিয়ে এমএসসি করেছেন। তিনি চিকিৎসকদের সিভিল সার্ভিস (বিসিএস)পরীক্ষায় প্রথম হয়ে ১৯৯৫ সালে চিকিৎসক হিসেবে প্রজাতন্ত্রের চাকুরীতে যোগ দেন। এর দুই বছর আগে তারেকের সঙ্গে বিয়ে হয় জোবাইদার।[৫]
জিয়া পরিবারের সদস্য ও বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় জোবাইদা রহমানের দলের হাল ধরার কথা প্রচার হলেও তিনি কখনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি কিংবা প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে তাকে দেখা যায় নি।[৩][২]
জোবাইদা রহমানের রাজনীতিতে আসা নিয়ে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীসভার বৈঠকে মন্তব্য করেছিলেন-
সে (জোবাইদা) শিক্ষিতা এবং ভালো বংশের মেয়ে। সে রাজনীতিতে এলে ভালোই হবে।[৭]
বিতর্ক
[সম্পাদনা]জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতে একটি দুর্ণীতির মামলা চলমান। অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের জরুরি সরকারের শাসনামলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবাইদা ও জোবাইদার মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলাটি করে দুদক।[৮][৯] ২০২৪ সালে এই মামলার সাজা স্থগিত করা হয়।[১০]
২০০৮ সালে শিক্ষাছুটি নিয়ে লন্ডন যাওয়ার পর আবার দ্বিতীয় মেয়াদে ছুটি বাড়ানোর পরও ফেরত এসে চাকুরীতে যোগ না দেওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাকে বরখাস্ত করেছে।[৫]